একবিংশ শতকের চুলচেরা নিয়ম মেনেই শিশু ভূমিষ্ঠ হবার ৯ মাস ১০ দিন আগে থেকেই তার উজ্জ্বল ভবিষৎ এর রূপরেখা তৈরি হয়ে যায়। সর্বশিক্ষা অভিযানের কোনো প্রভাব ছাড়াই, সন্তান কিন্তু ভবিষৎ এর আই. এস, আই. পি.এস বা ইঞ্জিনিয়ার হয়েই জন্মায়। আমাদের “ছয়লাপ” এর ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। "লেখকের কলম তরবারির থেকেও শক্তিশালী", এই আপ্ত বাক্যটা নিঃসন্দেহে সত্যি। কিন্তু সে তরবারি যে পরিমাণ সাহিত্যগুণে ধারালো হওয়া উচিত, তাতে খানিক খামতি থেকে গেছিল। আদপে দেখা গেল দুটি সংখ্যার পরেই, অপরিণত শিশুর মতোই তৃতীয় সংখ্যার খসড়া হাতে নিয়ে আমরা আমাদের প্রিয় সন্তানের শ্রাদ্ধ-অনুষ্ঠানটা সেরে ফেলেছি। ফলতঃ মাঝে দুই বছরের জন্য যতিচিহ্ন বসে গেল। সৌভাগ্যবশত সেটি চন্দ্রবিন্দু না হওয়ায় ভাবনা গুলো কোথাও একটা বেঁচে ছিল। অতঃপর শীতঘুম কাটিয়ে আবার ফিরে আসা। সন্তানকে তার নিজের মতো করে বাড়তে দেবার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন