লেখকের জবানবন্দী -: আদতে লেখাটার আগে কিছু কথা বলে নেওয়া দরকারি। আপাতত ভাবে এই ভাষা আমার কাছে ধরা দেয় নি। সেই ভাষার কাছে পৌঁছে গিয়ে ভেবলে গেছি। ফলে এই ভাষা অনেকটা ভাষানুবাদের মত। যা আমার কাছেও অচেনা,নতূন ও চ্যাকচ্যাকে। ফলতঃ দেখা যাক কোথাও গিয়ে এই কিসসা দাঁড়ায়।বা সে মাথা নুইয়ে সারা'র ভারি কোলেই শুয়ে না পড়ে।
-দেবজিৎ অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়
ক।
"a jingle bell "
ঠাস বুনোনে লুকিয়ে থাকে উগ্র কল্পবিজ্ঞান। এই শহরের ওজন সইতে পারার ক্ষমতা বেড়ে গেছে,তোমাদের বাড়িটার জন্য। ওই বিপদজনক বাড়িটা প্রায়শই এমন কিছু একটা হয়ে যায়। বাড়িশুদ্ধু ঘুরতে যাও যেখানে বিলুপ্ত জীব ও গাছ'রা যেখানে থাকে কিনবা কখনও সখনও পুরীও চলে যাও। তোমার ছোটকাকু সেখানেও কোন চাকরি খুঁজে পান না। তোমাদের পালাতে চাওয়া কুকুরটা একটা সারা রাত জুড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়া চেনটাকে পাহারায় রেখেছিল।
সারা ও হেনরি প্রচুর মাংস কিনেছে তাদের রোজগার দিয়ে।
আমি কিনেছি মদ অনেকদিন বাদে। মিস শূন্য অপচয় পছন্দ করেন না। আজ ঝলসানো রাত আসবে। সারা ও হেনরি ওদের ভাষায় কি একটা গায়। তার এক বর্ণও বুঝতে পারি না। খালি বুঝি সেই গান ভীষণ নরম যৌনতার কথা বলে হয়তো। সারা ও হেনরির হাবভাব সেই কথাই বলে অন্তত। মিস শূন্য বলেছেন,হেনরিকে তার বিছানাতে চাই। সেসবের কথা অন্য কোথাও বলবো। তার থেকেও নিকৃষ্ট কথাদের আমি বৃষ্টিতে ভিজতে পাঠিয়ে দি। তোমার জানা জ্বরের ভালো কোন টোটকা জানা থাকলে জানিও। সারা -হেনরি'দের থেকে গানটা শিখে নেবো। মানেটা না যদিও। আমাকে নিয়ে তোমাদের বাড়িটা কোথাও হারিয়ে যায় নি। তোমাদের কুকুরটাও কিছুতেই ভালোবাসছে না। ওর পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাটাও রোজ রোজ তীব্র হচ্ছে। এসো, আদরের মত একটা অস্বাভাবিক কিছু হোক এই স্বাভাবিক শহরে। ঝুম চাষের মত একদিন আদর হোক? না কি?
খ।
"a cute sin"
হেনরিকে কেউ একটা মুরগী করেছে। যদিও সে মুরগী হওয়ার মতও ছেলে না। তাকে তিনটে তিন রঙের ঝুটা পাথর বারো হাজার টাকায় একজন বিক্রি করেছে। হেনরী বলেছে,সে প্রথমে সেগুলো কিনতে চায় নি। তাও কিভাবে যেনো কিনে ফেলেছে। রুবির মত গোলাপী রঙের পাথরটাকে সে প্রায়ই,কিছুক্ষণ বাদে বাদেই আঙুল আর তর্জনীর মধ্যে ধরে, আকাশে তুলে, এক চোখ বন্ধ করে দেখছে পাকা পাথর বিশেষজ্ঞের মত করে। কি বুঝছে বার বার দেখে কি জানি। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি,এগুলো দিয়ে বরং সে সারাকে আলাদা আলাদা তিনখানা লকেট বানিয়ে দিক। সবুজখানা সারা'কে মানাবেও। কিন্তু মিস শূন্য এসব জানতে পেরে যাওয়ার ভয় পায় হেনরি।
তোমাদের বাড়ির খেয়াল রাখবে ঠিক কেউ না কেউ
তারচেয়ে চলো
আমরা বরং মৃত নদীর আশেপাশেই ঘুরে আসি
ওদিকে খাবার বাদে,সবই সস্তা
বর্ষায় নাকি জায়গাটা দারুণ
সমস্ত কেঁচে যাওয়া সম্পর্কও নাকি
ঠিকঠাক হয়ে যায় ওখানে গেলে
গর্ভনিরোধক বড়িগুলো তোমার তলপেটে একটা ভারিক্কি ব্যাপার এনেছে
আমার সাথে যাও আর না যাও
তোমাদের বাড়ির কুকুরটাকে নিয়ে অন্তত
একবার ঘুরে এসো
দেখবে তার শেকল ছিঁড়ে পালানোর বাতিকটা
অনেকটা কমে যাবে
অন্যান্য কুক্কুরীদের প্রতিও তার যে
এক অদ্ভুত অবিচলতা জন্মেছে
গত দুই ভাদ্র ধরে
সেটাও আশা করা যায় কেটে যাবে
বারো হাজার টাকা বেমালুম বাজে খরচের জন্য সারা ও হেনরির মধ্যে বাজে ঝগড়া হয়েছে। সারা তাকে বোকা,মুর্খ,অমেরুদণ্ডী, নপুংসক ইত্যাদি বলেছে। হেনরি তার পুরোন ফুটবল খেলার জুতোটা থেকে ঠুকে,খুঁচিয়ে কাদা ছাড়িয়েছে এই পুরো সময়টা জুড়ে। সারা তাকে অঙ্ক কষে দেখিয়েছে,এ মাসে আর মাংস কেনা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। হেনরি জুতো জোড়া নিয়ে কোথাও একটা যাচ্ছিলো।তার পরনেও ছিলো খেলার ফিনফিনে পোশাক। বেড়িয়ে যেতে যেতে সে শুনেছিলো, "যাও...আবার কাউকে দিয়ে পোঁদ মারিয়ে এসো" বলে খিস্তি করলো সারা। আমি ছুরি ও ভেন্ডির চুবড়িটা নিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে বসি। হেনরি বাড়ির কিছু দুড়ে গিয়ে রাস্তায় একটা কিছু খুঁজে পায়।কোকের ক্যান জাতীয় কিছু। সেটাকেই লাথাতে লাথাতে,হাতে ফুটবলের বুক জোড়া ঝুলিয়ে চলে যাচ্ছে কোথাও একটা। সারা গজগজ করতে করতে পাথরগুলো আলমারিতে তুলে রাখতে গেল। সবুজখানা বুকের খাঁজের ওপর,গলার নিচে বুড়ো আঙুল আর তর্জনিতে আলতো করে ধরে আয়নায় খানিকক্ষণ ধরে নিজেকে দেখলো। ফিক করে হাসলো। তারপর বারান্দায় এসে, ওই একই ভাবে পাথরটা একই জায়গায় ধরে,আমাকে জিজ্ঞেস করলো,তাকে মানিয়েছে কিনা। আমি হ্যাঁ বলে মাথা নাড়লাম।লক্ষ্য করলাম,সারার বুক গুলো অনেক পাকাপোক্ত মিস শুন্যর থেকে। হেনরি ততক্ষণে রাস্তার মোড় পেরিয়ে গেছে।
-দেবজিৎ অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়
ক।
"a jingle bell "
ঠাস বুনোনে লুকিয়ে থাকে উগ্র কল্পবিজ্ঞান। এই শহরের ওজন সইতে পারার ক্ষমতা বেড়ে গেছে,তোমাদের বাড়িটার জন্য। ওই বিপদজনক বাড়িটা প্রায়শই এমন কিছু একটা হয়ে যায়। বাড়িশুদ্ধু ঘুরতে যাও যেখানে বিলুপ্ত জীব ও গাছ'রা যেখানে থাকে কিনবা কখনও সখনও পুরীও চলে যাও। তোমার ছোটকাকু সেখানেও কোন চাকরি খুঁজে পান না। তোমাদের পালাতে চাওয়া কুকুরটা একটা সারা রাত জুড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়া চেনটাকে পাহারায় রেখেছিল।
তুমি স্নানে যাও নিয়মিত
আর আমি তোমার কাছে
আর কখনও সখনও শহরের কাছে
ছেড়ে রাখা মোজার ভেতর থেকে রেলগাড়ির গন্ধ আসছে
ফলে তোমার আস্তো ঘরটাই য্যানো রেলগাড়ির কামরা হয়ে উঠেছে
দেখো অল্প অল্প দুলতে
আর এক্ষুনি একটা ছেলে পুরোন জামা দিয়ে
অল্প একটু খানি মেঝে মুছেই
হাত পাতবে
তুমিও কয়েকখানা খুচরো টুচরো দেবে
আজ নিখাদ একটা দুর্ঘটনাকে উপেক্ষা করেই আমাদের শুদ্ধু
কাটা বুকের ওপর দিয়ে নির্লিপ্ত ভাবে
রেলগাড়ি চলে যাচ্ছিলো
শহরের দিকে গেছিলাম
প্রচুর কামিয়ে ফিরেছি
সারা ও হেনরি প্রচুর মাংস কিনেছে তাদের রোজগার দিয়ে।
আমি কিনেছি মদ অনেকদিন বাদে। মিস শূন্য অপচয় পছন্দ করেন না। আজ ঝলসানো রাত আসবে। সারা ও হেনরি ওদের ভাষায় কি একটা গায়। তার এক বর্ণও বুঝতে পারি না। খালি বুঝি সেই গান ভীষণ নরম যৌনতার কথা বলে হয়তো। সারা ও হেনরির হাবভাব সেই কথাই বলে অন্তত। মিস শূন্য বলেছেন,হেনরিকে তার বিছানাতে চাই। সেসবের কথা অন্য কোথাও বলবো। তার থেকেও নিকৃষ্ট কথাদের আমি বৃষ্টিতে ভিজতে পাঠিয়ে দি। তোমার জানা জ্বরের ভালো কোন টোটকা জানা থাকলে জানিও। সারা -হেনরি'দের থেকে গানটা শিখে নেবো। মানেটা না যদিও। আমাকে নিয়ে তোমাদের বাড়িটা কোথাও হারিয়ে যায় নি। তোমাদের কুকুরটাও কিছুতেই ভালোবাসছে না। ওর পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাটাও রোজ রোজ তীব্র হচ্ছে। এসো, আদরের মত একটা অস্বাভাবিক কিছু হোক এই স্বাভাবিক শহরে। ঝুম চাষের মত একদিন আদর হোক? না কি?
খ।
"a cute sin"
হেনরিকে কেউ একটা মুরগী করেছে। যদিও সে মুরগী হওয়ার মতও ছেলে না। তাকে তিনটে তিন রঙের ঝুটা পাথর বারো হাজার টাকায় একজন বিক্রি করেছে। হেনরী বলেছে,সে প্রথমে সেগুলো কিনতে চায় নি। তাও কিভাবে যেনো কিনে ফেলেছে। রুবির মত গোলাপী রঙের পাথরটাকে সে প্রায়ই,কিছুক্ষণ বাদে বাদেই আঙুল আর তর্জনীর মধ্যে ধরে, আকাশে তুলে, এক চোখ বন্ধ করে দেখছে পাকা পাথর বিশেষজ্ঞের মত করে। কি বুঝছে বার বার দেখে কি জানি। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি,এগুলো দিয়ে বরং সে সারাকে আলাদা আলাদা তিনখানা লকেট বানিয়ে দিক। সবুজখানা সারা'কে মানাবেও। কিন্তু মিস শূন্য এসব জানতে পেরে যাওয়ার ভয় পায় হেনরি।
তোমাদের বাড়ির খেয়াল রাখবে ঠিক কেউ না কেউ
তারচেয়ে চলো
আমরা বরং মৃত নদীর আশেপাশেই ঘুরে আসি
ওদিকে খাবার বাদে,সবই সস্তা
বর্ষায় নাকি জায়গাটা দারুণ
সমস্ত কেঁচে যাওয়া সম্পর্কও নাকি
ঠিকঠাক হয়ে যায় ওখানে গেলে
গর্ভনিরোধক বড়িগুলো তোমার তলপেটে একটা ভারিক্কি ব্যাপার এনেছে
আমার সাথে যাও আর না যাও
তোমাদের বাড়ির কুকুরটাকে নিয়ে অন্তত
একবার ঘুরে এসো
দেখবে তার শেকল ছিঁড়ে পালানোর বাতিকটা
অনেকটা কমে যাবে
অন্যান্য কুক্কুরীদের প্রতিও তার যে
এক অদ্ভুত অবিচলতা জন্মেছে
গত দুই ভাদ্র ধরে
সেটাও আশা করা যায় কেটে যাবে
বারো হাজার টাকা বেমালুম বাজে খরচের জন্য সারা ও হেনরির মধ্যে বাজে ঝগড়া হয়েছে। সারা তাকে বোকা,মুর্খ,অমেরুদণ্ডী, নপুংসক ইত্যাদি বলেছে। হেনরি তার পুরোন ফুটবল খেলার জুতোটা থেকে ঠুকে,খুঁচিয়ে কাদা ছাড়িয়েছে এই পুরো সময়টা জুড়ে। সারা তাকে অঙ্ক কষে দেখিয়েছে,এ মাসে আর মাংস কেনা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। হেনরি জুতো জোড়া নিয়ে কোথাও একটা যাচ্ছিলো।তার পরনেও ছিলো খেলার ফিনফিনে পোশাক। বেড়িয়ে যেতে যেতে সে শুনেছিলো, "যাও...আবার কাউকে দিয়ে পোঁদ মারিয়ে এসো" বলে খিস্তি করলো সারা। আমি ছুরি ও ভেন্ডির চুবড়িটা নিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে বসি। হেনরি বাড়ির কিছু দুড়ে গিয়ে রাস্তায় একটা কিছু খুঁজে পায়।কোকের ক্যান জাতীয় কিছু। সেটাকেই লাথাতে লাথাতে,হাতে ফুটবলের বুক জোড়া ঝুলিয়ে চলে যাচ্ছে কোথাও একটা। সারা গজগজ করতে করতে পাথরগুলো আলমারিতে তুলে রাখতে গেল। সবুজখানা বুকের খাঁজের ওপর,গলার নিচে বুড়ো আঙুল আর তর্জনিতে আলতো করে ধরে আয়নায় খানিকক্ষণ ধরে নিজেকে দেখলো। ফিক করে হাসলো। তারপর বারান্দায় এসে, ওই একই ভাবে পাথরটা একই জায়গায় ধরে,আমাকে জিজ্ঞেস করলো,তাকে মানিয়েছে কিনা। আমি হ্যাঁ বলে মাথা নাড়লাম।লক্ষ্য করলাম,সারার বুক গুলো অনেক পাকাপোক্ত মিস শুন্যর থেকে। হেনরি ততক্ষণে রাস্তার মোড় পেরিয়ে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন