পাশের পাড়ার ক্লাব "মহামায়া সংঘ" বাজারে বেশ নামডাক করেছে বিগত কয়েক বছরে। গতবার তো লায়ন্স ক্লাব থেকে "শ্রেষ্ঠ সিংহ" পুরষ্কারও পেয়েছিল। ওদের সিংহটা নাকি কলকাতার সবথেকে মাসকুলার সিংহ ছিল। প্রতিবার ওদের প্যান্ডেলে কি ভিড় হয় আর আমাদের প্যান্ডেল, মানে "হঠাৎ সংঘ" এর প্যান্ডেলে গুটিকয়েক লোক আসে।এই নিয়ে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট পালান মন্ডল,আমাদের পালানদার খুব রাগ।
আমার সাথে দেখা হলেই বেশ আবেগ নিয়ে বলে
-ভুতো, এবার পুজোতে শালা এসপার ওসপার করে দেব। মহামায়া সংঘের পুজোর থেকে দ্বিগুণ লোক আসবে দেখিস, শুধু একটা আইডিয়া আসতে দে মাথায়।
আমিও প্রচন্ড উৎসাহ নিয়ে শুনি। পালানদার প্রতি এক অসম্ভব শ্রদ্ধা বহন করে চলি।অবশ্য তার একটা অন্য কারণ আছে। পালানদার মেয়ে বুগি, মানে বিপাশার সাথে আমার আবার একটু ইয়ে আছে।আছে। তাতে অবশ্য ঘাবড়াবার কোন কারণ নেই।পালানদাকে দাদা বলে ডাকলেও সে বয়সে আমার থেকে ঢের বড়।
ক্লাবের সিনিয়র বলে আমি দাদা বলে ডাকি আর কি। বুগির সাথে আমার সম্পর্ক নিয়ে তাই কোন টেকনিকাল সমস্যা নেই। তবে কিকরে পালানদা কে বলব ব্যাপারটা সেটা ভাবলেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। পালানদার বেশ তাগড়াই চেহারা, কালচে রং,অনেকটা চারমূর্তি ছবির গজাদার মত। যেদিন এসব লটরপটরের ব্যাপারটা জানতে পারবে সেদিন শিওর উদোম ক্যালানি দেবে আমাকে।
যাই হোক দেখতে দেখতে পুজো এসে গেল। পালানদা ঠিক করল যে এবার নতুন কিছু করা হবে পুজোতে। এবার নাকি রোবট দুর্গা আর অসুরের লড়াই হবে। সবাই জানতে চাইলাম সেটা কিরকম। পালানদা বলল,
-আরে দুগ্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক, অসুর এদের সব মূর্তিগুলোর পায়ের তলায় চাকা থাকবে। মেশিনের সাহায্যে মুর্তিগুলো নড়াচড়া করবে বেদীর উপর।বেদীতে সাদা সাদা মেঘের কাট আউট থাকবে যাতে মনে হয় মেঘের ওপরে লড়াই হচ্চে। সাউন্ড এফেক্টে গুড়ুম গুড়ুম করে বাজের আওয়াজ থাকবে।এক্কেবারে শেষে মাদুগ্গা এসে অসুরের বুকে ত্রিশুল বসিয়ে দিতেই ব্যাকগ্রাউন্ডে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডীপাঠ শুরু হবে। আর চকমকে লাইটিং তো থাকবেই। পুরো ব্যাপারটা ৫ মিনিটের শো এর মত হবে। একসাথে ৫০ জনকে ঢুকতে দেওয়া হবে।বাইরে লাইন পড়ে যাবে এরকম নতুন স্টাইলের ঠাকুর দেখার।
আমরা সবাই পালানদার নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকলাম। শালা হবু শ্বশুরের মধ্যে একটা পোটেনশিয়াল সনাতন দিন্দা লুকিয়ে আছে ভাবতেই বুকটা গর্বে ভরে গেল।
পুজোর কদিন ভিড় সামলাতে আমরা হিমশিম খেয়ে গেলাম। পুজো সুপারহিট হল আমাদের। বিশেষ করে আমি এত খেটেছিলাম যা পালানদা আমার ওপর প্রচন্ড খুশি হয়ে গেছিল। বুগিকে ফোন করে বললাম যে বিজয়ার কোলাকুলির পরেই পালানদাকে আমাদের ব্যাপারটা বলে দেব। সব ঠিক চলছিল,গোলমালটা বাঁধল নবমী রাতে এসে।
পরেরদিন ভাসান, পুরো পুজোটাই আমরা উৎরে দিয়েছিলাম বলে পালানদা ক্লাবের ছেলেদের জন্য খানাপিনার ব্যাবস্থা করল।রয়্যাল স্ট্যাগ আর চিকেন
পকোড়া। রাত ১ টার পর প্যান্ডেলের এন্ট্রান্স বন্ধ করে দেওয়া হল। আধা লাইট নিভিয়ে প্যান্ডেলের ভেতরেই শুরু হল মোচ্ছব।
তখন প্রায় আড়াইটে বাজে, অধিকাংশ লোকেরই তার কেটে গেছে ততক্ষণে।হঠাৎ বাইরে শুনলাম কিছু লোকের আওয়াজ। বেরিয়ে দেখি মহিলা,পুরুষ, বাচ্চা মিলিয়ে প্রায় জনা তিরিশেক লোক চিল্লামিল্লি করছে। তাদের দাবী যে শো চালু করতে হবে।তারা নাকি লোকমুখে শুনে অনেকদূর থেকে এসেছে আমাদের রোবট দূর্গার লড়াই দেখতে।পালানদা আমাদের বলল,
-কাল তো ভাসান, এরা এতদূর থেকে এসেছে, চল একবার শো দেখিয়েই দি।
বাকিরা গাঁইগুঁই করল কিন্তু ইম্প্রেস করার জন্য আমিই এগিয়ে এলাম। ইলেক্ট্রিশিয়ান বিল্টুকে দেখলাম মদ খেয়ে আউট হয়ে ড্রেনের ধারে কেলিয়ে পড়ে আছে।অনেক ডাকাডাকিতেও উঠলনা।অগত্যা আমিই মেন সুইচ জ্বালিয়ে দিলাম। শো শুরু করার আগে একবার ডেমো দিতে গিয়ে দেখি সর্বনাশ। অসুর নড়ছেনা।ওদিকে লোকজনেদের বলে দেওয়া হয়েছে যে শো হবে। অনেকবার অন-অফ করতেও অসুরবাবাজীর নো নড়নচড়ন। হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। পালানদাকে আলাদা করে নিয়ে গিয়ে বললাম সব ঘটনা এবং এটাও বোঝালাম যে ক্লাবের সম্মান বাঁচাতে একটাই রাস্তা আছে আর সেটা হল পালানদাকেই অসুর হতে হবে।
পালানদা আপত্তি জানাতে যাচ্ছিল কিন্ত আমি বললাম,
-এলাকায় এত ভাল চেহারা আর কারো নেই। তুমিই পারবে এটা করতে। ভেরি সিম্পল, খালি গা হও আর অসুরের গয়নাগুলো পরে নাও, তারপর অসুরের কাতানটা হাতে নিয়ে একপা এগোবে আর তারপর তালে তালে একপা পিছোবে।শেষে দুগ্গার ত্রিশুলের সামনে বুক পেতে দিলেই ব্যাস।
পালানদা আমার কথামত খালি গা হয়ে অসুরের গয়না গুলো পরে নিল। তারপর কার্ডবোর্ডের মেঘের আড়ালে দাঁড়িয়ে রইল শো শুরু হওয়ার জন্য। আমি সুইচ অন করে দিতেই শো শুরু হল। কার্তিক,লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ সব বেদীর ওপর চলাচল শুরু করল। মাঝখানে দূর্গা আর পালান মন্ডল বাজের তালে তালে নাচতে থাকল।
নাহ্ পালানদা বেশ ভাল পারফর্ম করছে। রোবটের মত বেশ কাঠকাঠ এক্সপ্রেশন দিচ্ছে। হঠাৎ নিচে তাকিয়ে দেখি পালানদা তাড়াহুড়াতে লুঙ্গি পরেই নেমে গেছে। নীল চেকচেক লুঙ্গি। ভাগ্য ভাল যে মেঘনাদের মত মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ করছে বলে লুঙ্গিটা কারো চোখে পড়েনি। তখনই এল সেই চরম মুহূর্ত। কার্ডবোর্ডের মেঘে বোধহয় পেরেক লেগে ছিল আর আমাদের পালানাসুর মনে হয় মেঘের বড় কাছে চলে এসেছিল। পেরেকে লুঙ্গি আটকাতেই সেটা এক ঝটকায় খুলে গেল আর মেঘও লুটিয়ে পড়ল মাটিতে।
বেদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে রইল পালান মন্ডল। কালো শরীরে নীল আলো লেগে যেন পিছলে পিছলে যাচ্ছে।
কানে কুন্ডল, হাতে বাজুবন্ধ, কাঁধের পাশে গব্বরের মত বেল্ট কিন্তু নিম্নাঙ্গ সম্পূর্ণ অনাবৃত।
দর্শকদের মধ্যে এক বাচ্চা বলে উঠল "এবাবা অসুর ল্যাংটো"। এক মহিলা বলে উঠল " ছি ছি ছি!! কি অসভ্য লোক রে বাবা"। মহিলার স্বামী তো পারলে বেদীতে উঠে মারে আর কি। ক্লাবের ছেলেরা কোনমতে তাকে ধরে রইল।
পালানদা শুধু আমার দিকে একটা শীতল দৃষ্টি তে তাকাল, বুঝলাম যে কি হতে চলেছে এরপর।
ঠিক সেই মুহূর্তে আমার আর বুগির প্রেমের ডুগি বাজিয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ বলে উঠলেন "আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে...."
আমার সাথে দেখা হলেই বেশ আবেগ নিয়ে বলে
-ভুতো, এবার পুজোতে শালা এসপার ওসপার করে দেব। মহামায়া সংঘের পুজোর থেকে দ্বিগুণ লোক আসবে দেখিস, শুধু একটা আইডিয়া আসতে দে মাথায়।
আমিও প্রচন্ড উৎসাহ নিয়ে শুনি। পালানদার প্রতি এক অসম্ভব শ্রদ্ধা বহন করে চলি।অবশ্য তার একটা অন্য কারণ আছে। পালানদার মেয়ে বুগি, মানে বিপাশার সাথে আমার আবার একটু ইয়ে আছে।আছে। তাতে অবশ্য ঘাবড়াবার কোন কারণ নেই।পালানদাকে দাদা বলে ডাকলেও সে বয়সে আমার থেকে ঢের বড়।
ক্লাবের সিনিয়র বলে আমি দাদা বলে ডাকি আর কি। বুগির সাথে আমার সম্পর্ক নিয়ে তাই কোন টেকনিকাল সমস্যা নেই। তবে কিকরে পালানদা কে বলব ব্যাপারটা সেটা ভাবলেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। পালানদার বেশ তাগড়াই চেহারা, কালচে রং,অনেকটা চারমূর্তি ছবির গজাদার মত। যেদিন এসব লটরপটরের ব্যাপারটা জানতে পারবে সেদিন শিওর উদোম ক্যালানি দেবে আমাকে।
যাই হোক দেখতে দেখতে পুজো এসে গেল। পালানদা ঠিক করল যে এবার নতুন কিছু করা হবে পুজোতে। এবার নাকি রোবট দুর্গা আর অসুরের লড়াই হবে। সবাই জানতে চাইলাম সেটা কিরকম। পালানদা বলল,
-আরে দুগ্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক, অসুর এদের সব মূর্তিগুলোর পায়ের তলায় চাকা থাকবে। মেশিনের সাহায্যে মুর্তিগুলো নড়াচড়া করবে বেদীর উপর।বেদীতে সাদা সাদা মেঘের কাট আউট থাকবে যাতে মনে হয় মেঘের ওপরে লড়াই হচ্চে। সাউন্ড এফেক্টে গুড়ুম গুড়ুম করে বাজের আওয়াজ থাকবে।এক্কেবারে শেষে মাদুগ্গা এসে অসুরের বুকে ত্রিশুল বসিয়ে দিতেই ব্যাকগ্রাউন্ডে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডীপাঠ শুরু হবে। আর চকমকে লাইটিং তো থাকবেই। পুরো ব্যাপারটা ৫ মিনিটের শো এর মত হবে। একসাথে ৫০ জনকে ঢুকতে দেওয়া হবে।বাইরে লাইন পড়ে যাবে এরকম নতুন স্টাইলের ঠাকুর দেখার।
আমরা সবাই পালানদার নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকলাম। শালা হবু শ্বশুরের মধ্যে একটা পোটেনশিয়াল সনাতন দিন্দা লুকিয়ে আছে ভাবতেই বুকটা গর্বে ভরে গেল।
পুজোর কদিন ভিড় সামলাতে আমরা হিমশিম খেয়ে গেলাম। পুজো সুপারহিট হল আমাদের। বিশেষ করে আমি এত খেটেছিলাম যা পালানদা আমার ওপর প্রচন্ড খুশি হয়ে গেছিল। বুগিকে ফোন করে বললাম যে বিজয়ার কোলাকুলির পরেই পালানদাকে আমাদের ব্যাপারটা বলে দেব। সব ঠিক চলছিল,গোলমালটা বাঁধল নবমী রাতে এসে।
পরেরদিন ভাসান, পুরো পুজোটাই আমরা উৎরে দিয়েছিলাম বলে পালানদা ক্লাবের ছেলেদের জন্য খানাপিনার ব্যাবস্থা করল।রয়্যাল স্ট্যাগ আর চিকেন
পকোড়া। রাত ১ টার পর প্যান্ডেলের এন্ট্রান্স বন্ধ করে দেওয়া হল। আধা লাইট নিভিয়ে প্যান্ডেলের ভেতরেই শুরু হল মোচ্ছব।
তখন প্রায় আড়াইটে বাজে, অধিকাংশ লোকেরই তার কেটে গেছে ততক্ষণে।হঠাৎ বাইরে শুনলাম কিছু লোকের আওয়াজ। বেরিয়ে দেখি মহিলা,পুরুষ, বাচ্চা মিলিয়ে প্রায় জনা তিরিশেক লোক চিল্লামিল্লি করছে। তাদের দাবী যে শো চালু করতে হবে।তারা নাকি লোকমুখে শুনে অনেকদূর থেকে এসেছে আমাদের রোবট দূর্গার লড়াই দেখতে।পালানদা আমাদের বলল,
-কাল তো ভাসান, এরা এতদূর থেকে এসেছে, চল একবার শো দেখিয়েই দি।
বাকিরা গাঁইগুঁই করল কিন্তু ইম্প্রেস করার জন্য আমিই এগিয়ে এলাম। ইলেক্ট্রিশিয়ান বিল্টুকে দেখলাম মদ খেয়ে আউট হয়ে ড্রেনের ধারে কেলিয়ে পড়ে আছে।অনেক ডাকাডাকিতেও উঠলনা।অগত্যা আমিই মেন সুইচ জ্বালিয়ে দিলাম। শো শুরু করার আগে একবার ডেমো দিতে গিয়ে দেখি সর্বনাশ। অসুর নড়ছেনা।ওদিকে লোকজনেদের বলে দেওয়া হয়েছে যে শো হবে। অনেকবার অন-অফ করতেও অসুরবাবাজীর নো নড়নচড়ন। হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। পালানদাকে আলাদা করে নিয়ে গিয়ে বললাম সব ঘটনা এবং এটাও বোঝালাম যে ক্লাবের সম্মান বাঁচাতে একটাই রাস্তা আছে আর সেটা হল পালানদাকেই অসুর হতে হবে।
পালানদা আপত্তি জানাতে যাচ্ছিল কিন্ত আমি বললাম,
-এলাকায় এত ভাল চেহারা আর কারো নেই। তুমিই পারবে এটা করতে। ভেরি সিম্পল, খালি গা হও আর অসুরের গয়নাগুলো পরে নাও, তারপর অসুরের কাতানটা হাতে নিয়ে একপা এগোবে আর তারপর তালে তালে একপা পিছোবে।শেষে দুগ্গার ত্রিশুলের সামনে বুক পেতে দিলেই ব্যাস।
পালানদা আমার কথামত খালি গা হয়ে অসুরের গয়না গুলো পরে নিল। তারপর কার্ডবোর্ডের মেঘের আড়ালে দাঁড়িয়ে রইল শো শুরু হওয়ার জন্য। আমি সুইচ অন করে দিতেই শো শুরু হল। কার্তিক,লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ সব বেদীর ওপর চলাচল শুরু করল। মাঝখানে দূর্গা আর পালান মন্ডল বাজের তালে তালে নাচতে থাকল।
নাহ্ পালানদা বেশ ভাল পারফর্ম করছে। রোবটের মত বেশ কাঠকাঠ এক্সপ্রেশন দিচ্ছে। হঠাৎ নিচে তাকিয়ে দেখি পালানদা তাড়াহুড়াতে লুঙ্গি পরেই নেমে গেছে। নীল চেকচেক লুঙ্গি। ভাগ্য ভাল যে মেঘনাদের মত মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ করছে বলে লুঙ্গিটা কারো চোখে পড়েনি। তখনই এল সেই চরম মুহূর্ত। কার্ডবোর্ডের মেঘে বোধহয় পেরেক লেগে ছিল আর আমাদের পালানাসুর মনে হয় মেঘের বড় কাছে চলে এসেছিল। পেরেকে লুঙ্গি আটকাতেই সেটা এক ঝটকায় খুলে গেল আর মেঘও লুটিয়ে পড়ল মাটিতে।
বেদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে রইল পালান মন্ডল। কালো শরীরে নীল আলো লেগে যেন পিছলে পিছলে যাচ্ছে।
কানে কুন্ডল, হাতে বাজুবন্ধ, কাঁধের পাশে গব্বরের মত বেল্ট কিন্তু নিম্নাঙ্গ সম্পূর্ণ অনাবৃত।
দর্শকদের মধ্যে এক বাচ্চা বলে উঠল "এবাবা অসুর ল্যাংটো"। এক মহিলা বলে উঠল " ছি ছি ছি!! কি অসভ্য লোক রে বাবা"। মহিলার স্বামী তো পারলে বেদীতে উঠে মারে আর কি। ক্লাবের ছেলেরা কোনমতে তাকে ধরে রইল।
পালানদা শুধু আমার দিকে একটা শীতল দৃষ্টি তে তাকাল, বুঝলাম যে কি হতে চলেছে এরপর।
ঠিক সেই মুহূর্তে আমার আর বুগির প্রেমের ডুগি বাজিয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ বলে উঠলেন "আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে...."
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন