ঘ।
"a broken window"
মিস শূন্যের চাকরটি দু বার ঘুরে গেছে। একবার হেনরি বাজারে গেছিলো। অন্যবার পায়খানায় ছিলো। তৃতীয়বার এসেও সে যখন হেনরি'কে পেলো না (কারণ হেনরি তখন ঘরে দরজা লাগিয়ে মারিজুয়ানাতে বুঁদ হয়ে ছিলো। আমরা বলে দিলাম হেনরি এবারেও বাড়ি নেই।) তখন, তার বুকপকেট থেকে এক টুকরো কাগজ বার করে আমাকে ও সারা কে মাপছে। কে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হেনরিকে সেই কাগজফালি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আমার হাতে সেই কাগজফালি দিয়ে,সে অনুরোধ করলো,অবশ্যই তা যেনো হেনরির কাছে পৌঁছে দি। আমি তাকে আশ্বস্ত করলে সে চাকরসুলভ পায়ে আওয়াজ না করেই চলে যায়। সে মোটামুটি মেইনগেট পেরতে পেরেছে কি পারে নি,সারা আমার হাত থেকে কাগজ ফালিটা ছিনিয়ে নিয়ে পড়ে ফেলে।
"হেনরি,
এখনি আমার বাড়ি আসো। খুব দরকারি কিছু কথা জানানোর আছে।
মিস শূন্য
২৭/৩/১৭ "
সারা আমার চোখের দিকে তাকায়। কাগজটা থেকে একটা কড়া,মিষ্টি ও যৌন উত্তেজক গন্ধ আসছে। মিস শূন্যের কবজিতে লাগানো পারফিউম কাগজে যেটুকু ঘষা খেয়েছে,তাতেই। মিস শূন্যের হাতের লেখা গোটা গোটা,স্পষ্ট ও ঝরঝরে।
যে কারণে আমাদের মধ্যে কোন আদর টাদর হয় না
(এ আমার দুম করে ধরা দেওয়া উপলব্ধি। কনফেশনের দলিলও বলা যায়)-
তোমাদের বাড়িতে
কেউ কোনদিন চা খেতে বলে না বলে
তোমাদের পাড়ার মুখের
ওই তেলচিটে দোকানটা থেকে
একটা চা,দুটো প্রজাপতি বিস্কুট আর একটা সিগারেট খেয়ে
তোমাদের বাড়ি যাই
সদস্যদের মধ্যে
একমাত্র ওই কুকুরটাই
আমাকে তুখোড় পাত্তা দেয়
(যদিও তা নেতিবাচক)
ফলে
তার প্রতি অন্যরকমের ভালোলাগা তৈরি হয়েছে
দাড়িতে, বুকে লেগে থাকা
গুড়ো প্রজাপতি বিস্কুটের গুঁড়ো মুছিয়ে দাও
মজা করে বলি
ওসব তো রেনু...থাকুক
তুমি, আমাকে প্রজাপতি হত্যাকারীর দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করো তারপর পুরো একটা দিন ধরে
হেনরি দরজা খুলে বেরানো মাত্রই সারা তাকে কাগজের ফালিটা এগিয়ে দেয়। তিনদিন হলো সারা হেনরির ঝগড়া এখনও মেটে নি। তারা কথাও বলছিলো না এতদিন। কাগজটা পড়ার পর,শুঁকেও দেখে হেনরি। মৃদু হাসে। এসব কিছুই সারার চোখ এড়ায়নি।আমার দিকে তাকিয়ে হেনরি বলে,"তাকে জানিয়ে দিও,আমার জন্য লাঞ্চ তৈরী করার কোন প্রয়োজন নেই। ডিনারের প্রয়োজন আছে কিনা তাও জানিয়ে দেবো যথাসময়ে"। বলে টেবিলের ওপর রাখা ওয়ালেটটা তুলে বাড়িতে পরার ট্রাউজার আর টি শার্টেই হেনরি দুম দাম করে বেড়িয়ে যায়। হেনরি তখনও দ্বিতীয় লাইটপোস্টটা পেরিয়েছে হয়তো,সারা মারাত্মক পাশবিক এক চিৎকার করে,রান্নাঘরের মেঝেতে রাখা ভেন্ডির চুবড়িতে লাথি কষালো। সারা মেঝে ভেন্ডিতে ভেন্ডি।
মিস শূন্যের চাকরটি দু বার ঘুরে গেছে। একবার হেনরি বাজারে গেছিলো। অন্যবার পায়খানায় ছিলো। তৃতীয়বার এসেও সে যখন হেনরি'কে পেলো না (কারণ হেনরি তখন ঘরে দরজা লাগিয়ে মারিজুয়ানাতে বুঁদ হয়ে ছিলো। আমরা বলে দিলাম হেনরি এবারেও বাড়ি নেই।) তখন, তার বুকপকেট থেকে এক টুকরো কাগজ বার করে আমাকে ও সারা কে মাপছে। কে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হেনরিকে সেই কাগজফালি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আমার হাতে সেই কাগজফালি দিয়ে,সে অনুরোধ করলো,অবশ্যই তা যেনো হেনরির কাছে পৌঁছে দি। আমি তাকে আশ্বস্ত করলে সে চাকরসুলভ পায়ে আওয়াজ না করেই চলে যায়। সে মোটামুটি মেইনগেট পেরতে পেরেছে কি পারে নি,সারা আমার হাত থেকে কাগজ ফালিটা ছিনিয়ে নিয়ে পড়ে ফেলে।
"হেনরি,
এখনি আমার বাড়ি আসো। খুব দরকারি কিছু কথা জানানোর আছে।
মিস শূন্য
২৭/৩/১৭ "
সারা আমার চোখের দিকে তাকায়। কাগজটা থেকে একটা কড়া,মিষ্টি ও যৌন উত্তেজক গন্ধ আসছে। মিস শূন্যের কবজিতে লাগানো পারফিউম কাগজে যেটুকু ঘষা খেয়েছে,তাতেই। মিস শূন্যের হাতের লেখা গোটা গোটা,স্পষ্ট ও ঝরঝরে।
যে কারণে আমাদের মধ্যে কোন আদর টাদর হয় না
(এ আমার দুম করে ধরা দেওয়া উপলব্ধি। কনফেশনের দলিলও বলা যায়)-
তোমাদের বাড়িতে
কেউ কোনদিন চা খেতে বলে না বলে
তোমাদের পাড়ার মুখের
ওই তেলচিটে দোকানটা থেকে
একটা চা,দুটো প্রজাপতি বিস্কুট আর একটা সিগারেট খেয়ে
তোমাদের বাড়ি যাই
সদস্যদের মধ্যে
একমাত্র ওই কুকুরটাই
আমাকে তুখোড় পাত্তা দেয়
(যদিও তা নেতিবাচক)
ফলে
তার প্রতি অন্যরকমের ভালোলাগা তৈরি হয়েছে
দাড়িতে, বুকে লেগে থাকা
গুড়ো প্রজাপতি বিস্কুটের গুঁড়ো মুছিয়ে দাও
মজা করে বলি
ওসব তো রেনু...থাকুক
তুমি, আমাকে প্রজাপতি হত্যাকারীর দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করো তারপর পুরো একটা দিন ধরে
হেনরি দরজা খুলে বেরানো মাত্রই সারা তাকে কাগজের ফালিটা এগিয়ে দেয়। তিনদিন হলো সারা হেনরির ঝগড়া এখনও মেটে নি। তারা কথাও বলছিলো না এতদিন। কাগজটা পড়ার পর,শুঁকেও দেখে হেনরি। মৃদু হাসে। এসব কিছুই সারার চোখ এড়ায়নি।আমার দিকে তাকিয়ে হেনরি বলে,"তাকে জানিয়ে দিও,আমার জন্য লাঞ্চ তৈরী করার কোন প্রয়োজন নেই। ডিনারের প্রয়োজন আছে কিনা তাও জানিয়ে দেবো যথাসময়ে"। বলে টেবিলের ওপর রাখা ওয়ালেটটা তুলে বাড়িতে পরার ট্রাউজার আর টি শার্টেই হেনরি দুম দাম করে বেড়িয়ে যায়। হেনরি তখনও দ্বিতীয় লাইটপোস্টটা পেরিয়েছে হয়তো,সারা মারাত্মক পাশবিক এক চিৎকার করে,রান্নাঘরের মেঝেতে রাখা ভেন্ডির চুবড়িতে লাথি কষালো। সারা মেঝে ভেন্ডিতে ভেন্ডি।
ঙ।
"are you scared? I am"
হেনরি সেদিন রাতে ফেরে না। প্রবল বৃষ্টি হয়। সারা প্রায় মাঝরাত অব্ধি সোফায় শুয়ে ফোঁপায়। তাকে ঘরে গিয়ে শুতে বল্লেও,সে আমল দেয় না। আমি সারার চোখে ভয়, ঘেন্না,রাগ,কষ্ট দেখেছিলাম সেই রাতে। মেয়েটা কেমন কুঁকড়ে শুয়ে ছিল। য্যানো অসহ্য কষ্ট হচ্ছে কোথাও। আমি ব্যালকনিতে বসে মারিজুয়ানা খাচ্ছি আর বৃষ্টির ছাটে ভিজছি। খুব কাছে কোথাও বাজ পড়লো। সারার ফোঁপানি বেড়ে যায়।
আমি জানি গতরাতে তুমি ঘুমাও নি আমার মতই
যদিও আমাদের জেগে থাকার কারণগুলো ছিলো ভীষণই আলাদা
তোমাদের কুকুরটা নিশ্চিত কাল রাতে
একতলায় ছোটকাকাদের পূর্ব দিকের জানলার
ছোটখাটো কার্নিশটার নিচে বসে ছিলো বৃষ্টি থেকে বাঁচতে
এবং কালও সেই ঘর থেকে কোন আদরের আওয়াজ আসে নি
তোমার ছোটকাকিমাও যথারীতি আজ ভোর ভোরই উঠেছেন
তোমার কাকা তার সিভি'র আরেক কপি নিয়ে আজ কোথাও যাবেন
ফলে ওই সময় তিনি ঘুমানোর চেষ্টা করছিলেন
ও স্বপ্নের মধ্যে একটি অপমানজনক ইন্টার্ভিউ-এর মুখোমুখি হচ্ছিলেন
তোমার কাকিমা সংসার নামক শব্দটার কাছে
সবেমাত্র আরেকটু বীতশ্রদ্ধ হতে শুরু করেছিলেন যে মুহূর্তে
সেই মুহূর্তে
তুমি নিজের নাইটি গুটিয়ে
হাত চালান করে দিয়েছিলে নিজের কাছে
আমি জেগেছিলাম সারার জন্য
মেয়েটা সারারাত কেঁদেছে
হেনরির জন্য
হেনরি মিস শূন্যের চিঠি পেয়ে সেই সকালে চলে গেছে
রাত অব্ধি তার কোন পাত্তাই ছিল না
আমি বিদ্যুতের ক্ষণিকের আলোতে দেখেছি
ঈশ্বরের মত একটা কেউ
কোকের ক্যান লাথাতে লাথাতে আমাদের বাড়ির দিকে আসছে
আমি, সারা দুজনেই অপেক্ষা করেছিলাম
এবার বুঝি বেল বেজে উঠবে
অথচ তোমার মুচড়ে ওঠা,আমাদের বাড়ির খুব কাছে একটা বাজ পড়া ও তারপর ঈশ্বরের ভ্যানিস হয়ে যাওয়া
সবই একসাথে ঘটেছিলো
সকালে উঠে দেখি,সারা ওই একই ভাবে ঘুমাচ্ছে।তার পোশাক একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। তার বুকের ভারি মাংস বেড়িয়ে এসেছে অনেকখানি। আমি রান্নাঘরে গিয়ে দুজনের মত কড়া কফি বানাই। সারার ঘুম ভেঙে গেছে। সে সোফার ওপরেই বুকের কাছে পা মুড়ে বসে। সে আমার বানানো কফির কোন প্রশংসা বা বদনাম কিছুই করে না। তারপর তার কড়া সিগারেট ধরিয়ে, বাথরুমের দিকে যেতে যেতে বল্লো,"দেখবে,আজ লাঞ্চের আগেই ও ফিরে আসবে"।
"are you scared? I am"
হেনরি সেদিন রাতে ফেরে না। প্রবল বৃষ্টি হয়। সারা প্রায় মাঝরাত অব্ধি সোফায় শুয়ে ফোঁপায়। তাকে ঘরে গিয়ে শুতে বল্লেও,সে আমল দেয় না। আমি সারার চোখে ভয়, ঘেন্না,রাগ,কষ্ট দেখেছিলাম সেই রাতে। মেয়েটা কেমন কুঁকড়ে শুয়ে ছিল। য্যানো অসহ্য কষ্ট হচ্ছে কোথাও। আমি ব্যালকনিতে বসে মারিজুয়ানা খাচ্ছি আর বৃষ্টির ছাটে ভিজছি। খুব কাছে কোথাও বাজ পড়লো। সারার ফোঁপানি বেড়ে যায়।
আমি জানি গতরাতে তুমি ঘুমাও নি আমার মতই
যদিও আমাদের জেগে থাকার কারণগুলো ছিলো ভীষণই আলাদা
তোমাদের কুকুরটা নিশ্চিত কাল রাতে
একতলায় ছোটকাকাদের পূর্ব দিকের জানলার
ছোটখাটো কার্নিশটার নিচে বসে ছিলো বৃষ্টি থেকে বাঁচতে
এবং কালও সেই ঘর থেকে কোন আদরের আওয়াজ আসে নি
তোমার ছোটকাকিমাও যথারীতি আজ ভোর ভোরই উঠেছেন
তোমার কাকা তার সিভি'র আরেক কপি নিয়ে আজ কোথাও যাবেন
ফলে ওই সময় তিনি ঘুমানোর চেষ্টা করছিলেন
ও স্বপ্নের মধ্যে একটি অপমানজনক ইন্টার্ভিউ-এর মুখোমুখি হচ্ছিলেন
তোমার কাকিমা সংসার নামক শব্দটার কাছে
সবেমাত্র আরেকটু বীতশ্রদ্ধ হতে শুরু করেছিলেন যে মুহূর্তে
সেই মুহূর্তে
তুমি নিজের নাইটি গুটিয়ে
হাত চালান করে দিয়েছিলে নিজের কাছে
আমি জেগেছিলাম সারার জন্য
মেয়েটা সারারাত কেঁদেছে
হেনরির জন্য
হেনরি মিস শূন্যের চিঠি পেয়ে সেই সকালে চলে গেছে
রাত অব্ধি তার কোন পাত্তাই ছিল না
আমি বিদ্যুতের ক্ষণিকের আলোতে দেখেছি
ঈশ্বরের মত একটা কেউ
কোকের ক্যান লাথাতে লাথাতে আমাদের বাড়ির দিকে আসছে
আমি, সারা দুজনেই অপেক্ষা করেছিলাম
এবার বুঝি বেল বেজে উঠবে
অথচ তোমার মুচড়ে ওঠা,আমাদের বাড়ির খুব কাছে একটা বাজ পড়া ও তারপর ঈশ্বরের ভ্যানিস হয়ে যাওয়া
সবই একসাথে ঘটেছিলো
সকালে উঠে দেখি,সারা ওই একই ভাবে ঘুমাচ্ছে।তার পোশাক একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। তার বুকের ভারি মাংস বেড়িয়ে এসেছে অনেকখানি। আমি রান্নাঘরে গিয়ে দুজনের মত কড়া কফি বানাই। সারার ঘুম ভেঙে গেছে। সে সোফার ওপরেই বুকের কাছে পা মুড়ে বসে। সে আমার বানানো কফির কোন প্রশংসা বা বদনাম কিছুই করে না। তারপর তার কড়া সিগারেট ধরিয়ে, বাথরুমের দিকে যেতে যেতে বল্লো,"দেখবে,আজ লাঞ্চের আগেই ও ফিরে আসবে"।